হাকিকুল ইসলাম খোকন: গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামীলিগের উদ্যোগে আহমেদ চত্ত্বরে অমর একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।যাদের অমূল্য জীবনের বিনিময় বাঙালী জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার,যারা জাতির হৃদয়ে জাগিয়ে তুলেছে স্বাধীনতার স্বপ্ন,আদায় করেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্বীকৃতি-সেই মহান শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে দল মত নির্বিশেষে কন কনে শীত উপেক্ষা করে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হয়েছে কয়েক শত নারী,পুরুষ,নতুন প্রজন্ম মূলতঃ নতুন প্রজন্ম ও বিশ্ব সত্ত্বার মাঝে মাতৃভাষার অধিকার চাওয়া বাঙালির রক্তাক্ত ইতিহাস তুলে ধরতে এই আয়োজন।
গর্ব ও আত্মত্যাগের মহান দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাব গম্ভীর পরিবেশে মোয়াজ্জেম ইকবালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শেলীর সঞ্চালনে রাত ৮ টায় শুরু হয়।পবিত্র কোরান তেলওয়াত ও শহীদদের আত্মার কামনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন হাফেজ সাব্বির আহমেদ।জাতীয় সংগীত ও শহীদ স্বরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের পরে ৫২র মাতৃভাষা আন্দোলন কিভাবে বাঙালির মননে পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিড়ে মায়ের মধুর ভাষা প্রতিষ্ঠা করে,তার উপর আলোচনা অংশ নেন করিমুজ্জামান,এ কে এম রুমেল,মোহাম্মদ জসীম।মোয়াজ্জেম ইকবাল স্মরণ করেন একুশে শহীদের ঠাঁই প্রতিটি বাঙালির মর্মমূলে,যাঁরা আমাদের স্বদেশ, মাতৃভূমি জাতিসত্তা ও মাতৃভাষা ফিরিয়ে দিয়েছেন।সমগ্র অনুষ্ঠানটি বর্ণিল উপস্থাপনায় প্রাণের অঞ্জলিতে ফুঁটিয়ে তুলেন শামসুর রহমান সামু।একুশের কবিতা দিয়ে সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা হয় নবনী ও লিপির অনবদ্য আবৃত্তির মাধ্যমে।মিজান,ফারজানা,পল্লি ইসলাম ,তালাত,বাচ্চুর দেশের গানে সকলের অন্তর ছুঁয়ে যায়।একই সাথে চলে আপ্যায়ন পর্ব।এতে সহযোগিতা করেন আবিদ আমির,ইলিয়াস ঠাকুর,কনক,শাহজাহান কাজি,টিটু বেপারী,তাহের সহ অন্যান্য কর্মীবৃন্দ।রাত সাড়ে দশটায় একুশের প্রতিক শহীদ মিনারে মৃত্যুঞ্জয়ী শহীদের উদ্দেশ্যে পুস্পস্তবক অর্পণের পালা।দীর্ঘ সাড়ি সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামীলিগের নেতৃত্বে পুষ্পার্য অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ,তারপরে বাংলাদেশ সোসাইটি,বাংলাদেশ আমেরিকান ফাউন্ডেশন,অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সর্বশেষে সর্বস্তরের জনতা।মুখে তাদের আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।মুহূর্তেই হাজারো পূষ্পে ভরে উঠে শহীদ মিনারের পদদেশ।সমগ্র অনুষ্ঠানটি স্হির চিত্র ধারণ করেন মুন।